কোরবানি ২০১৮ – Foyez Islam

Qurbani 2018 Mr.BullDozer সাধারণত গ্রপ এর সবচেয়ে নিরব মানুষ গুলোর ভিতর আমি একজন,লাইক দেওয়া ছাড়া আমার ওইরকম কোনো অ্যাকটিভিটি নাই,সবার গল্পও লিখা দেখা মন চাইলো আমিও একটা গল্পও লিখি, প্রত্যেক কুরবানী ঈদ এর দুই তিন দিন আগে থেকে হাট ঘুরা শুরু হয় আমার,আমার নানী বাড়ি পুরান ঢাকায়,সেই হিসেবে এক সময় সবচেয়ে বেশি পছন্দের হাট ছিল নোয়াবাজার হাট,বিশেষ করে রাতের বেলা বাবুবাজার ঘাট এর আনলোড টা সেই লাগতো,ট্রলার এ করে আনলোড টা বেশি এক্সাইটিং ছিল,বর্তমানে নয়াবাজার হাট আর আগের মত নাই,যাইহোক ২০১৮ সালে দুই দিন আগে বের হলাম, নয়াবাজর হয় এ ধোলাইখাল গেলাম সেখানেও হলো না,কয়েক টা ক্লোজ কল ছিল,আর বেপারী দের ভাব এর ঠেলায় টিকে থাকা যাচ্ছিল না, আমরা নিজেদের দের টা সহ মামাদের গরু মিলে ৫ টা কিনতে হয়,শেষমেশ একটা গাই গরু কিনলাম নওয়াবাজার থেকে,রইলো বাকি ৪ টা... আমি আমার কাজিন কে বললাম চলো বসিলা হাটে যাই,বিশাল হাট অনেক গরু,সে বললো পাগল হইসো,ঐখান থেকে গরু আনবো কিভাবে আমি বললাম লাইফ মে কুছ ডেয়ারিং কাড়তে হে (Joke) যদিও আমার গাবতলী থেকে পুরান ঢাকা গরু নিয়ে যাওয়ার বাজে অভিজ্ঞতা ছিল যাই হোক অনেক রাস্তার অনেক জাম ঠেলে বসিলা হাট এ ঢুকলাম,অল্প একটু বৃষ্টিতে হাট এর অবস্থা খুব খারাপ হয় এ গেলো,তার উপর নাই কারেন্ট,এমন একটা অবস্থা বেপারী যে যেমন পারতেছে দাম চাচ্ছে,গরুর সাইজ বুঝা যাচ্ছে না অন্ধকারে, কয়েকটা দেশাল দামাদামি করলাম, মিলায় তে পারতে ছিলাম আগে থেকে মাথায় ছিল এইবার লাল কিনবো না,গত দুইবছর লাল কিনেছি,এরপর ঘুরতে ঘুরতে হাট এর ভিতরে ঢুকে এই কালা মিয়া কে পাইলাম,দাম চাইলো ২ লাখ,আমি একবারে বললাম ১ লাখ ,বাকি দামাদামি করে শেষমেশ ১১৫ তে দিয়ে দিল,এরপর ভাইকে ফোন দিলাম,উনি আবার এক্সপার্ট অপিনিনিয়ন না দিলে কনফার্ম কেমনে করি,উনি আসলেন বললেন ঠিক আছে গল্পও টা এইখানেই শেষ হইতে পারতো, বাট এরপর কালা মিয়া তার খেলা দেখানো শুরু করলো,পিক আপে উঠানোর আগ পর্যন্ত পুরা হাট গরম করে ফেলল,এমন একটা অবস্থা কেউ আমরা পিকআপের পিছনে উঠার সাহস পাইতে ছিলাম না,পাশে আবার আমার ফ্রেন্ড এর একটা গরু ছিলো,ওইটাকে অলমোস্ট আধমরা বানায় ফেলসিল,যাইহোক এইসব দেখে আমার ভাই আমার উপর মহা বিরক্ত কেন এটা কিনলাম,আরো ভয়ংকর হইলো উনি গরু নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর জানাইলো গরু পিকআপ এর ছাদে উঠে লাথি দিয়ে পিকআপ এর গ্লাস ভেঙ্গে ফেলেছে,এইভাবে অনেক কষ্টে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হইসে.বাসায় এসে শুনি ভাইজান ২ হাজার টাকা পিকআপ গ্লাসের জন্য জরিমানা দিসে😁😁 যদিও কোরবানির পর মাংস উনি বেশি খেয়েছিলো (Joke)

সুলতান – Nusrat Jahan Unni

আমার বেবী সুলতানের কথা কম বেশি সবাই জানেন। ২০১৮ সালের অন্যতম সুন্দর গরুগুলোর মধ্যে একটি ছিলো। কিন্তু এর পেছনের গল্প অনেকেই জানেন না। Sajbir Ahmed Saikat ধন্যবাদ তোমাকে আমাকে এই গল্প বলার জন্য সুযোগ দেয়ার জন্য। আমার লাইফে একটা ক্রাশ ছিলো যাকে দেখলেই জিটিভির রাম কাপুরের মত মনে হতো। ১৫/১৬ আগস্ট ২০১৮ এর সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ আমার ক্রাশ আমাকে ফোন করে বললো নুসরাত তুমি আমাকে কয়টা গরু কিনে দাও। আমি তো আর ঐ সময় দুনিয়াতেই ছিলাম না। ক্রাশের জন্য গরু 🙈🙈🙈. OMG. পারলে তো ব্রাহমা এনে দেই। বিশ্বাস করেন তার পরের দিন আর না হলেও ৫০০ লাল গরুর ছবি হোয়াটস্ অ্যাপে দিছি প্রাইস সহ। ক্রাশের তো পছন্দ হই না। ১৭ আগস্ট আমি আমার এলাকার হাটে ঘুরেছিলাম । হাট থেকে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়ার সাথে সাথে ক্রাশ একটা ছবি দেখিয়ে বললো আমার এমন গরু লাগবে। লাগবে মানে লাগবেই। অনেক ফার্ম মালিকদের সাথেই কথা বললাম কিন্তু কারো সাথে মিলাতে পারছিলাম না। রং মিললে কুঁজ পাই না , কুঁজ পাইলে শিং পাই না ব্লা ব্লা। তখন সাদেক এগ্রোতে ফোন দিলাম। ইমরান ভাই্য়া বললো চলে আসেন। বাইক একটা নিয়ে দিলাম দৌড়। আর যাই হোক ক্রাশের গরু যেন অন্য কেউ কিনে দিতে না পারে এটাই ছিল মূল লক্ষ। গিয়ে ভাইয়াকে ক্রাশের গরুর রিকোয়ারমেন্ট বললাম কিন্তু ভাইয়া বললো একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি বললাম তাহলে ভাইয়া আমি একটু ঘুরি এখানে যদিও হবে না তাও আমার জন্য একটা গরু দেখতে থাকি কারন আমি জানি আমার বাজেট অনুযায়ী গরু এখানে পাওয়া যাবে না। ভাই্য়া একটা লাইন দেখিয়ে বললো এই সারির গরু গলা দেখেন যেটা পছন্দ হয় আমাকে বইলেন। বিশ্বাস করেন মনের মধ্যে অন্যরকম একটা ভয় আনন্দ এক্সাইটমেন্ট কাজ করতেছিলো। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। জীবনে কখনো নিজে একা গরু কিনি নাই। সব সময় আব্বু আর ভাই কিনেছে। আমার ভাই ও বলতেছিলো গরুর দাম নাকি বেশি যাবে কি যে করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমার বন্ধু Wasim Akram বেশ কয়েকটা গরু দেখানোর পর বেবী সুলতানকে দেখালো। প্রথম দেখাতেই বললাম নানানা শিং নাই। ও বললো দেখ গরুটা কত সুন্দর । আমি বললাম শিং নাই। আর বিশ্বাস করেন এত বড় বড় গরুর মাঝে বেবী সুলতানকে একেবারেই পিচ্চি লাগছিলো।ওয়াসিম বললো গরুটা বের করে হাটাইয়া দেখ। আমি বললাম ঠিক আছে। সত্যি নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না কি যে কিউট লাগছিলো ঐ সময় বলে বুঝাতে পারবো না। দিলাম ফোন ভাইকে। বললাম তাড়াতাড়ি আয়। ও চলে আসলো। মুখে কিছু বলতেছিলো না কিন্তু চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। আর হাত দিয়ে দেখালো 👌👌👌👌। কিন্তু বিপদ তো এখানে না বিপদ তো সামনে। যখন দেখলাম ওজন অনুযায়ী ওর মূল্য আসে ১,১৫,০০০ যেটা জীবনেও সম্ভব না। বন্ধুর জোড়াজুড়িতে ভাইয়রা কাছে গেলাম বললাম ভাই্য়া পছন্দ হয়েছে কিন্তু শিওর নিতে পারবো না। ভাইয়া বললো বাজেট কত? ৮০,০০০ ম্যাক্সিমাম বললাম। ভাইয়া বললো ৯০,০০০ আমি বললাম ভাইয়া সম্ভব না। মনটাও খারাপ হয়ে গেলো। বোধ হয় আর আমার গরু কেনা হবে না। একটু পর ভাই্য়া বললো ঠিক আছে নিয়ে যাও ।খুশি তো? বিশ্বাস করেন নিজের কান কে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। এক্সাইটমেন্টের ঠেলায় ক্রাশের গরু কেনার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। একটু পরে সাভার ব্রান্চ থেকে বড় বড় ৬ টা গরু আসলো। বিধিবাম ছবি তুলেই ক্রাশকে ছবি দেখানোর আগেই সেল হয়ে যাচ্ছে সবগুলো। শেষমেষ বড় একটা গরু ছিনতাই করে কোনরকম নিয়েছিলাম। ক্রাশের ৩ টা গরু কিনলাম। কিনতে কিনতে রাত ২:৩০ টা। ঐ দিকে আম্মু আব্বুর ভয় এত রাতে এখানে। আবার আনন্দ নিজের গরু একা কেনার। ফেসবুকে পোষ্ট করতে পারছিলাম না কারন যত যাই বলেন ক্রাশের গরুর চেয়ে আমার গরুএকটু বেশি সুন্দর ছিল।পরে যখন সবাই দেখলো আর প্রশংসা করলো আমি মনে হচ্ছিলো ৭ আসমানে উড়তেছিলাম

আমার ২০১৮ এর গরু – Mir N. Hasan

১০০০% সত্যি কথা! মোস্ট অফ দ্য টাইম মানুষ যাদেরকে "পাগলা" গরু বলে আমি দেখসি তার ৭৫% গরুই আসলে ঘরে/খামারে বেঁধে পালা, শান্ত পরিবেশে ২-৩জন মানুষ আর ২-৪টা গরুর মাঝখানে থেকে বড় হওয়া গরু। এরা মোটেও পাগল না, এরা প্যানিকড! এরা হুট করে এই পাগলা শহরে এসে আমাদের মাঝে পরে আমাদের আতংকে অস্থির হয়ে নিজেকে ডিফেন্ড করার জন্য আমাদের থেকে সরতে চায়, নীরব কর্নারে/অন্ধকারে বা মাঠ টাঠের দিকে ভেগে যেতে চায়। এরা অপরিচিত মানুষের হাত থেকে পালানোর জন্য দৌড়ায়। জাস্ট ইমাজিন, আপনাকে আমাকে ধাম করে শত শত গরুর খোলা এক পালের মাঝে ফেলে দিলে আর কয়েকটা গরুকে আমাদের দিকে আগায় আসতে দেখলে আমাদের ফার্স্ট রিয়েকশন কি হবে? অবশ্যই আমরা দৌড়ায় ওই পালের মাঝ থেকে সরে আমাদের হিসাবে নিরাপদ কোনো জায়গায় চলে এসে বাঁচার চেষ্টা করবো। বেচারা গরুগুলাও তো তাই করে! এটাই স্বাভাবিক। এটাকে পাগলামি বললে সুস্থতা কি! আমার ২০১৮ এর গরুটা কেনার পর থেকে বাসায় আনার পর পর্যন্ত পাগলামির চূড়ান্ত করে ছাড়সে। আমাদের গরুর টেক কেয়ার সাধারণত আমাদের বাড়ির দারোয়ান চাচা করেন। উনি জামালপুরের মানুষ। গরু পেলে অভ্যস্ত। পালতে ভালোবাসেন। উনিও ভয় পেয়ে গেছেন। কোনোভাবেই শান্ত হইতেসিলো না ব্যাটা। চোখ লাল, চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসছে আর সমানে ফোঁসফোঁস করতেসিলো। ৩টা দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা থাকার পরও মনে হইতেসিলো যেকোনো সময় ছুটে যাবে। নাকে নাকা ছিল। তবু কেউ কাছে ভিড়তে পারতেসে না। এমনকি খাবার-পানিও দেয়া যাইতেসিলো না। আমি চাচাকে গোসল করায়ে খাবার পানি দিতে বলি। চাচ্ছিলাম একটু সময় দিতে, পরিচিত হলে, রিল্যাক্সড হলে কিছুটা ঠান্ডা হবে। হইলো না। কিন্তু এর মধ্যে আল্লাহর রহমতে আমার একটা জিনিস চোখে লাগে। আমি চাচাকে বলি আমি দড়ি টাইট করে ধরতেসি আপনি গরুর নাকা কেটে দেন। চাচা অবাক। কোনমতেই রাজি না। এম্নেই এই ত্যাদর গরু ধরা যায় না তার উপর নাকা কাটা মাত্রই সিচুয়েশন কন্ট্রোলের বাইরে যাবে গিয়ে। আমার কি...আমি তো রাতে বাসায় চলে আসবো, গরু সারারাত পালতে হবে একা চাচার, তখন সে কি করবে!তারপর আমি যখন জোর দিয়ে বলসি হয় আমি গরু ধরি আপনি নাকা কাটেন নাইলে আমি কাটি আপনি ধরেন...পরে কি হবে ভেবে ভয় পায়েন না, নাকা এখন কাটবই। তখন সে বিশ্বাস রেখে নাকা কেটে দিসে। নাকার কাছে হাত নেয়া মাত্রই আমি আর চাচা অবশ্য প্রায় উড়ে যাইতেসিলাম। কোনোমতে ধস্তাধস্তি করে কেটে দিয়ে নাক থেকে পুরা দড়ি বের করে নিয়ে আসছি। হাল্কা একটু ব্লাড বের হইসে। এরপর গরুটাকে পানি টানি খাওয়ানো হইসে। আসলে ব্যাপারটা ছিল এরকম যে ঘরে পালা গরু ঢাকায় এসে মনে হয় ছটফট করসিলো, ব্যাপারি দিসে নাকার দড়ি কষে টাইট করে। এতই টাইট হইসে যে গরুটা কন্সট্যান্ট এগোনির মধ্যে ছিলো। অবলা প্রাণী কাউকে পেইনের কথা বলতে পারে না, ছটফট করসে আর এজন্য আরও মার খাচ্ছে। টান লাগে দেখে খাবার-পানি কিচ্ছু খেতে পারতেসে না। সেই দড়িটা কেটে বের করে দিতেই যেই কৃতজ্ঞতার চোখে আমাদের দিকে তাকায় ছিলো ওইটা ভাষায় ফুটায় তোলা যায় না। এরপর বুভুক্ষের মতো পানি খাইলো। আমি কলা খাওয়াইলাম। আদর করলাম। তবু ভয় পাচ্ছিলো। পাওয়াটাই স্বাভাবিক। নতুন জায়গা তো। ওই রাতে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির হাত থেকে বাচাইতে আমরা আবার মাঝরাতে বৃষ্টিতে নেমে ওরে খুলে ভিতরে এনে বাঁধি। পরপর ২বার ওকে এভাবে সেইভ করায় ও আমাদের পুরাপুরি ট্রাস্ট করে একেবারে শান্ত হয়ে যায়। কি লেভেলের আদুরে একটা গরু ছিলো এটা কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবে না। সামনে দাড়ালেই গা ঘেঁষে দাড়ায় যাইতো, এরমানে এখন তাকে হাতায় দিতে হবে। যতক্ষণ হাতাবেন সে নড়বেও না। আর আপনি যদি ওর সামনে বসে ওর গায়ে হাত দেন তো শুয়ে পরবে, মাথা আপনার কোলে তুলে দিবে। চার পা টানটান করে লেটকায় পড়ে থাকবে।বাসার সব বাচ্চার প্রিয় গরু ছিলো ওটা। অবিকল আরেকটা বাচ্চা ছিলো যে। এই সেইম গরুই যে প্রথম দিকে পুরা কারবালা করে ফেলসিলো তা কে বিশ্বাস করবে। ব্যাপারির ওই ছোট্ট একটা ভুল যদি আমরা ধরতে না পারতাম, এই আদুরে বাচ্চা গরুটা তার জীবনের শেষ কয়টা দিন তীব্র ব্যথা নিয়ে বিনা খাবারে ভুগে মরতো। পাগলামি করতো। জবাই দিয়ে আমরা বলতাম, যাক বাবা একটা পাগলা গেছে, বাঁচা গেছে। ওর পেইনটা বুঝতাম না। ওদেরকে বুঝতে হবে। নিজেদের ওদের জায়গায় রেখে ওদের বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহর তৈরী সকল মাখলুকাতের মধ্যে ওরাও একটা মাখলুকাত, আর আমরাও একটা মাখলুকাত মাত্র। আমরা ওদের তুলনায় নিজেদের শুধুমাত্র তখনই যোগ্যতর ভাবতে পারি, যখন আমরা ওদের তুলনায় নিজেদের ব্রেইন আর মানবিক গুণগুলি বেটার ভাবে চর্চা করতে পারবো। নাহলে আমরা ওদেরই সমান, হয়তো ওদের অধমও হয়ে থাকতে পারি। চারপাশে তাকায় দেখেন, কি মনে হয়... ১৮,০০০ মাখলুকাতের মাঝে সবসময়ে সত্যিই কি আমরাই শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত?!